ধর্ম পালন

নিয়মিত নিজ নিজ ধর্মীয় কার্যাবলি সম্পাদন করা –

নিজ নিজ ধর্মে প্রতিদিন যা যা করতে বলা হয়েছে সে সমস্ত বিষয়সমূহ সময়মত সম্পাদন করতে হবে। যেমন :- নামাজ পড়া, পূজা করা, অন্যকে সেবা করা ইত্যাদি।


ইসলাম ধর্ম

নামাজ : পূর্বেই (সদস্য ব্যাজ বইয়ে) আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কে জেনেছি এ পর্যায়ে সূরা-ফাতেহা সহ আরাে চারটি সূরা অর্থ সহ শিখব এবং নিয়মিত নামাজ আদায় করব।

রােজা : সদস্য ব্যাজে আমরা রােজার প্রাথমিক কথা জেনেছি। এ পর্যায়ে আমরা রােজা রাখার অভ্যাস গড়ে তুলব, রােজার ফরজ সমূহ এবং কি কি কারনে রােজা ভঙ্গ হয় সে সম্পর্কে জানব। ধর্মীয় এ বিষয় সমূহ আমরা নিকটবর্তী মসজিদের ইমাম সাহেব অথবা তােমার নিকটবর্তী ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন যে কোন লােকের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করব এবং দৈনন্দিন জীবনে তার প্রতিফলন ঘটাব।

শবে মিরাজ : মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনে উল্লেখযােগ্য ঘটনার রাত হিসেবে এ রাতটি স্মরণীয়। এ রাতে তিনি মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে পৃথিবী থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে গমন করেন। এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা খুব ভালাে।

শব-ই-বরাত : শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবই-বরাত বলে অবিহিত করা হয়। এ রাতে আল্লাহ মানুষের মােনাজাত কবুল করেন। এটি অত্যন্ত মহিমাময় এবং পবিত্রতম রাত্রি।

ফাতেহা দোয়াজ দহম : ১২ই রবিউল আউয়াল দিনটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এদিনেই জন্ম নিয়েছিলেন আবার এদিনই ইন্তেকাল করেছিলেন। এদিনকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী বলে।

ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম : ১১ রবিউস সানী। এদিন শ্রেষ্ঠ আউলিয়া বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর ওফাত দিবস। এদিনটিও অতি তাৎপর্যপূর্ণ।

আশুরা : ১০ই মহররমকে মুসলমানেরা আশুরা হিসেবে পালন করে। এদিন নীতির প্রশ্নে আপােষহীন হবার প্রতিজ্ঞা করে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দৌহিত্র ইমাম হােসেন [রাঃ] কারবালার প্রান্তরে প্রাণ দিয়েছিলেন। তাই মুসলমানেরা এদিনকে বরণ করেছে শােক দিবস হিসেবে।

0 0 votes
Article Rating
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments