ধর্ম তত্ব : ধর্ম মানুষের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ সাধন। করে। কাজেই আমাদের প্রত্যেকেরই ধর্ম মেনে চলা উচিত। হিন্দু ধর্ম কেউ প্রচার করেনি। এটি ঈশ্বরের বাণী। প্রাচীন ঋষিদের নিকট এ বাণী প্রতিভাত হয়েছিল । ঋষিগণ গুরু শিষ্য পরম্পরায় এ বাণী মেনে চলতেন। কালক্রমে তা লিপিবদ্ধ হয়। যে ঋকবেদে ঈশ্বর বলেছেন, “একোহহম’ অর্থাৎ আমি এক, সুতরাং অদ্বিতীয়। তিনি বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা পালনকর্তা সংহারকর্তা। ঈশ্বরের বাণী ধর্ম মানার প্রথম শর্ত। ঈশ্বর আছেন – সর্বদা কায়মনােবাক্যে এ বিশ্বাস করতে হবে। ধর্ম হল সাক্ষাৎ অনুভব। কতকগুলাে বিশ্বাস, কতকগুলাে আচার ও কতকগুলাে অনুষ্ঠান – এ অনুভবে সহায়ক হয়।
বিশ্বাস : ঈশ্বর ধর্মের মূল । অর্থাৎ ঈশ্বর আছেন, তিনি অদ্বিতীয় ইত্যাদি বিশ্বাসই ধর্মের মূলে নিয়ে যায়।
আচার : সন্ধা-আহ্নিক, পূজা-পার্বণ ইত্যাদি। বিশ্বাস, আচার ও অনুষ্ঠান-এ একদিকে বাদ দিলে ধর্ম রক্ষা পায় না।
ঈশ্বরবাদ : বেদে বাগযজ্ঞের মন্ত্রাদি আছে। বেদে এই মন্ত্রটিও আছে একোহত। আমি এক। তিনি বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা। তিনি জ্যোতির্ময় ও মহান। তিনি ব্রহ্ম; তিনি। সর্বব্যাপী।
আত্মা : ব্রহ্ম সকলের মধ্যেই আছেন। প্রাণীগণের মধ্যে তিনি আত্মারুপে। আত্মা নষ্ট করা যায় না। আত্মা নিরাকার; প্রাণীগণের শরীর আছে, কিন্তু তিনি শরীর নন। মানুষ মারা যায়, কিন্তু আত্মা মরে না । আত্মা অন্য শরীর ধারণ করে। আত্মাকে দেখা যায় উপলব্ধি করতে হয়।
ঈশ্বরের নাম :
- ব্রহ্ম
- আত্মা
- ভগবান
Leave a Reply