পদ্ধতি: ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলকে চাপ দিয়ে ধরে তালুর ওপর রাখতে হবে। মাঝখানের তিনটি আঙ্গুলকে সোজা করে ধরতে হবে। তালু সামনের দিকে রেখে হাত তুলতে হবে। হাতের উপরিভাগের বাহু শরীরের সাথে ৪৫° কোণের সমান করে ধরে এবং নিচের বাহুকে ঊর্ধ্ববাহুর সাথে ৪৫° কোণ করে ধরে এমনভাবে স্কাউট চিহ্ন প্রদর্শন করতে হবে যেন নিম্নবাহু দেহের সাথে সমান্তরালভাবে থাকে। হাতকে এমনভাবে রাখতে হবে যেন হাতের তালু প্রায় চোখ বরাবর অবস্থান করে। এরূপ অবস্থায় হাত রাখাকে স্কাউট চিহ্ন বলে।
অনুশীলন: আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্কাউট চিহ্ন দেখানোর মাধ্যমে চিহ্ন প্রদর্শনের অনুশীলন করা যায়। আবার অপর একজন স্কাউটকে দেখা মাত্রই স্কাউট চিহ্ন দেখানোর মাধ্যমেও স্কাউট চিহ্নের অনুশীলন করা যায়।
স্কাউট চিহ্নের ব্যবহার:
প্রতিজ্ঞা পাঠ করার সময় অথবা প্রতিজ্ঞা পুনঃপাঠের সময় স্কাউট চিহ্ন দেখানোর প্রয়োজন হয়।
সাধারণ পোশাকে একজন স্কাউটের সাথে অপর একজন স্কাউটের পরিচিত হওয়ার সময় স্কাউট চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। কারণ এই চিহ্ন পৃথিবীর সকল দেশের স্কাউটরা সনাক্ত করতে সক্ষম। ফলে সে যে কোনো দেশেরই হোক না কেন এই চিহ্ন দেখালেই বোঝা যাবে যে, সামনে অবস্থানকারী একজন স্কাউট।
চিহ্নের তাৎপর্য: স্কাউট চিহ্নের একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে। ডান হাতের কবজি থেকে হাতের অগ্রভাব পর্যন্ত অংশকে ‘সোনালী বন্ধন’ বা ইংরেজিতে “Golden Tie” বলা হয়। হাতের মাঝের তিনটি আঙ্গুল দ্বারা প্রতিজ্ঞার তিনটি অংশকে ইঙ্গিত করা হয়। বুড়ো আঙ্গুল ও কণিষ্ঠ আঙ্গুলের বন্ধনের ফলে সৃষ্ট বৃত্ত পুরো বিশ্বের স্কাউটদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধনকে বোঝায়।
Leave a Reply