জাতীয় পতাকা

জাতীয় পতাকা অংকন ও রংয়ের ব্যাখ্যা:

জাতীয় পতাকা হচ্ছে একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। জাতীয় পতাকাকে সম্মান করা প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র কর্তব্য। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আয়তাকার। পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০ঃ৬। পতাকার মাঝে লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ দৈর্ঘ্যের দশভাগের দুই ভাগ।

জাতীয় পতাকা আঁকা ও রং করার পদ্ধতি:

পতাকার দৈর্ঘ্যকে সমান দশভাগে ভাগ করতে হবে। প্রত্যেক ভাগকে একটি ইউনিট ধরতে হবে। পতাকার প্রস্থকে সমান দুইভাগে ভাগ করতে হবে। পতাকা উত্তোলন প্রান্তের দিক থেকে সাড়ে চার ইউনিট এবং উড়ন্ত প্রান্তের দিকে সাড়ে পাঁচ ইউনিট রেখে একটি সমান্তরাল রেখা টানতে হবে ।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা

যদি পতাকার উড়ন্ত প্রান্তের দিকে এক ইউনিট বাদ দিয়ে পতাকাকে দুইটি সমান ভাগে ভাগ করা যায়, তাহলে উড়ন্ত প্রান্তের দিকে সাড়ে পাঁচ ইউনিট এবং উত্তোলন প্রান্তের দিকে সাড়ে চার ইউনিট থাকবে।

পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের ছেদক বিন্দুই হবে পতাকার লাল বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু। এই কেন্দ্র বিন্দুকে কেন্দ্র করে পতাকার দৈর্ঘ্যের দশভাগের দুইভাগ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত আকঁতে হবে। এই বৃত্ত লাল রঙের এবং বৃত্ত ছাড়া পতাকার বাকি অংশ গাঢ় সবুজ রঙের হবে।


জাতীয় পতাকা রংয়ের ব্যাখ্যা:

গাঢ় সবুজ অংশ: তারুণ্যের উদ্দীপনা এবং গ্রাম বাংলার সবুজ পরিবেশের প্রতীক এটি।

লাল বৃত্ত: এটি রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের এবং আশা আকাঙ্খার নতুন সূর্যের প্রতীক।


জাতীয় পতাকা – সমাপ্ত